খালেক নওয়াজ খান (২৬ মার্চ ১৯২৬ – ২ অক্টোবর ১৯৭১) বাংলাদেশের একজন ভাষা সৈনিক, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলা আইনসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০০৮ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়েছিল।
খালেক নওয়াজ খান ১৯২৬ সালের ২৬ মার্চ ময়মনসিংহের নান্দাইলের আচারগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এলাহী নওয়াজ খান ছিলেন একজন সাব ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও তার মা আলতাফুন্নেছা ছিলেন একজন গৃহিণী। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল ও জলপাইগুড়ি স্কুলে তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়। তিনি নান্দাইল চণ্ডীপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৪২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।এরপর তিনি ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৮ সালে স্নাতক ও ১৯৫২ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
ছাত্রজীবনে ১৯৪৪ সালে তিনি বেকার হোস্টেল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
খালেক নওয়াজ খান ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ হরতালের অংশ হিসেবে পিকেটিং করতে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। পিকেটিং জন্য সেদিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আবার গ্রেফতার হন।
খালেক নওয়াজ খান ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মাসে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়। পরবর্তীতে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৫৩ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি মুক্তি পান।
১৯৫৪ সালে খালেক নওয়াজ খান পূর্ব বাংলা আইনসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাচনে পূর্ব বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনকে পরাজিত করেন।
খালেক নওয়াজ খান ১৯৭১ সালের ২ অক্টোবর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুর পর ২০০৮ সালে ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস